Chorabali Logo
ইসলামিক নাম

শিশু ও ছোট বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া | বাচ্চার কান্না থামানোর দোয়া

বাচ্চার কান্না থামানোর দোয়া

কোন পরিবারে যদি কোন নবজাতক আসে এবং সেই নবজাতক যদি কোন ধরনের শারীরিক অসুবিধা ছাড়াই কান্না করতে থাকে তাহলে তার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক দোয়া এবং বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া  যদি আপনারা পাঠ করেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই বাচ্চা আস্তে আস্তে আল্লাহর রহমতে কান্না থামাবে। সন্তানকে কান্না নামক রোগ থেকে মুক্তি অথবা বন্ধ করার জন্য কোরআন থেকে বাচ্চাদের কান্না  থামানোর দোয়াটি হচ্ছে “সূরা আল ইমরানের 18 নম্বর আয়াত”। 

কান্না থামানোর দোয়া ও আয়াতটি হলোঃ

شَهِدَ اللهُ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ

وَالْمَلَيْكَةُ وَأُولُوا الْعِلْمِ قَابِما بِالْقِسْطِ

 لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

(সূরা আলে ইমরান। আয়াত-১৮)

আয়াতের বাংলা অর্থ

আল্লাহ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত অন্য কোনো উপাস্য নাই,  এবং ফেরেশতাগণ ও জ্ঞানীগণ তাঁহার সুবিচার বিশ্বাস করেন এবং সেই মহাপরাক্রান্ত বিজ্ঞানময় আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই।

-(সূরা আলে ইমরান – আয়াত-১৮)কান্না থামানোর দোয়া

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়াটি সঠিক ও সহিহ শুদ্ধ করে পড়ে শিশুর শরীরে ফু দিতে হবে। এতে করে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে  শিশুটির কান্না বন্ধ হয়ে যাবে এবং শিশুটিও স্বস্তি বোধ করবে। যার ফলে সে আর দশটা স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত ঘোরাফেরা, খেলাধুলা, খাবার খাওয়া ইত্যাদি কাজ সঠিক ভাবে করতে পারবে।

বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া পড়ার নিয়ম

বাচ্চাদের কান্না থামানোর জন্য দোয়াটি পড়ার আগে অবশ্যই পাক-পবিত্রতা করে নিতে হবে। এজন্য তওবা করতে হবে প্রথমে। এখন আয়াতটি পড়ার আগে তিনবার সুন্দর করে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। তারপর সূরা আল ইমরানের 18 নম্বর আয়াত পড়তে হবে। তারপর আবারো দুরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। এবার আয়াতটি পাঠ করে তিনবার  বাচ্চার  শরীরে তিনটি ফু দিতে হবে। এবার যদি তেল অথবা পানি পড়া পড়ার জন্য আয়াতটি পড়তে হবে 21 বার, পরে তিন বার দুরুদ শরীফ,পরে আয়াতটি আবারো 21 বার পড়ে পানিতে বা তৈল তিনটি  ফুঁ দিতে হবে। এখন বাচ্চাটির জন্য ওই তদবির গুলো ব্যবহার করতে হবে প্রতিনিয়ত।

বাচ্চারা কেন কাঁদে?

বাচ্চারা বিভিন্ন কারণে কান্নাকাটি করে, কিন্তু তাদের সবাইকে কান্নাকাটির কারন হিসেবে একটি প্রশ্ন করা যায় যে, তারা কী চায়? বাচ্চারা তাদের পিতামাতাকে তাদের চাহিদা গুলি বুঝিয়ে উঠতে সক্ষম হয় না, তাই তারা কান্নাকাটি করে। ফলে পিতামাতা কে বুঝে নিতে হবে বাচ্চা কেন কাঁদছে।

একটি শিশু যখন কান্নাকাটি করতে থাকে বেশিরভাগ সময় সেটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে পিতামাতার সামনে হাজির হয়। একটি ক্রন্দনরত শিশুকে শান্ত করার অনেক উপায় রয়েছে, তবে প্রত্যেকটি শিশুর জন্য একই কারন কাজ করে না। সত্যি কথা বলতে,  শিশুর কান্না থামানোর জন্য শুধুমাত্র একটি রাস্তাই রয়েছে এমন নয় । যে শিশুটি কান্নাকাটি করছে তার কী প্রয়োজন তা খুঁজে বের করাই হল সর্বোত্তম উপায় এবং আপনার সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী কোন পদ্ধতি কাজ করে সেটিও দেখা প্রয়োজন। এছাড়াও কান্নার একটি সাধারণ কারণ হল ক্ষুধা। যদি শিশুটি কান্নাকাটি করে এবং খাওয়ানোর পরেও কিছুটা সময়ের পর আবার কান্নাকাটি করতে থাকে তবে তাদের একটি বোতল বা বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। বাচ্চারা অতিরিক্ত খাওয়ানোর কারণে তাদের যে অস্বস্তি হয় তার কারণেও কান্নাকাটি করতে পারে। এছাড়া যদি মনে করেন বাচ্চা বিনা কারনে কান্না করছে তাহলে বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া পড়তে পারেন।

নবজাতকের কান্না করা কি ভালো?  

সন্তান জন্ম দেওয়া যে কোনও মায়ের জন্য সহজ নয়। কিন্তু প্রসবের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করার পর মা যখন সন্তানের কান্না শোনেন তখন তাঁর সব কষ্ট আনন্দে রূপান্তরিত হয়ে যায় নিমেষে। প্রতিটি শিশু জন্মের পর কাঁদে বা কাঁদতে বাধ্য হয়। যে শিশু নিজে কাঁদে না সেক্ষেত্রে শিশুর পিঠে থাপ্পড় দিয়ে শিশুকে কাঁদানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয়, এটি বিশ্বাস করা হয় যে একটি নবজাতক শিশুকে দিনে দুই থেকে তিন ঘণ্টা কাঁদতে হয়। অনেক জায়গায় শিশুর কান্নাকে শুভ বলে মনে করা হয়। এখন প্রশ্ন জাগে শিশু জন্মের পর কেন কাঁদে? অথবা শিশুর কান্নার প্রয়োজনই বা কেন? 

কান্নার মাধ্য দিয়ে নবজাতক তার পৃথিবীতে আগমনের বার্তা দেয়। তার আগমনে সবাই খুশি থাকলেও একমাত্র নবজাতক শিশুটিই এই খুশির মুহূর্তে নাগাড়ে কাঁদতে থাকে। শিশু যদি জন্মের পরপরই চিৎকার করে কেঁদে ওঠে তবে বোঝা যায় তার হার্ট ও ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করছে। শিশুর কান্না দেখে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। শিশু উচ্চস্বরে কাঁদছে তার মানে হল সে পুরোপুরি সুস্থ। তবে শিশুটি যদি খুব ধীর গলায় কান্নাকাটি করে, তাহলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা তার হতে পারে।

বাচ্চার জন্মের পরপরই কান্না করার কারন

 জন্মের আগ পর্যন্ত শিশু মায়ের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয়। জন্মের কয়েক সেকেন্ড পরে শিশু নিজে থেকেই শ্বাস নেওয়া শুরু করে। শিশু যখন গর্ভের বাইরে আসে তখন হৃদপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণের কারণে আটকে যায়। আর তখনই শিশু চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এ কান্নার ফলেই পরিষ্কার হয় তার শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। এরপর শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।

পরিশেষে

কান্না করা প্রত্যেকটা শিশুর জন্যই স্বাভাবিক এবং দরকারী ।তবে সেই কান্নার  হতে হবে মাত্রার মধ্যে কারন অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সেজন্য শিশুর কান্না শুরু হলে বুঝার চেষ্টা করতে হবে তার চাহিদা কি এবং পরবর্তীতে বাচ্চাদের কান্না থামানোর দোয়া পড়তে হবে নিয়ম মেনে। এতে শিশু সুস্থ থাকবে এবং বাচ্চার অভিভাবকও মানসিক শান্তি পাবে।

Mahedi

পেশায় একজন চাকরিজীবী আমি। লেখালিখির শখ অনেক আগে থেকেই। এই শখকে পুজি করে মানুষের মাঝে জ্ঞান বিতরণের সামান্য চেষ্টা আমার। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালিখি করতে বেশি পছন্দ করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close