গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয় 2024
গর্ভাবস্থায় ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে বাচ্চার চুল ঘন হবে। বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে আমরা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে থাকি। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয়? এমন প্রশ্ন অনেক গর্ভবতী মায়ের মনেই থাকে।
তবে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার ছাড়াও গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট সকালের রোদ গায়ে মাখাতে হবে। এতে করে গর্ভবতীর মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর উভয়ের চুল ভালো থাকবে। কারণ আমরা সবাই জানি, সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন ডি” থাকে। এবং ভিটামিন ডি চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন এক নজরে দেখিনি কোন কোন খাবার থেকে ওমেগা- ৩ ফাটি এসিড পাওয়া যায়-
- বিভিন্ন রকম মাছের তেল থেকে ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- চিয়া বীজ থেকে ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- ওটমিল থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- আখরোট ওমেগা ৩ ফ্যাটিএসিডের খুব ভালো উৎস।
- শণ বীজ থেকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- ওমেগা তিন ফ্যাটি এসিডের নিরামিষ উৎস হল ভেষজ তেল।
- স্যামন মাছ, তিসির বীজ থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
- রান্নায় ক্যানোলা তেল ব্যবহার করলে খাবার থেকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
এই জাতীয় খাবার গুলো গর্ভবতী মা প্রতিদিন তার খাবার তালিকায় রাখলে অবশ্যই তার গর্ভস্থ শিশুর চুল সুন্দর হবে।
আরও>> ১১ টি সেরা জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
গর্ভের বাচ্চার চুল গজাতে শুরু করে কত মাসে
গর্ভের ছোট্ট শিশুর চুল গজাতে শুরু করে ৩০ সপ্তাহের দিকে। তবে এই প্রক্রিয়া শিশু জন্ম গ্রহণের আগে পর্যন্ত চলতে থাকে। সব শিশুর চুল সমান হবে বিষয়টি এমন নয়। কিছু কিছু শিশুর ৩২ সপ্তাহের দিকে চুল গজাতে শুরু করে। তাদের জন্মের সময় চুলের পরিমাণ কিছুটা কম হয়।
তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই শিশুর চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। তবে যে সব গর্ভের শিশুর সাত মাসেই চুল গজাতে শুরু করে জন্মের সময় তাদের চুল বেশ ঘন এবং বড় হয়। গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয় এখানে আমরা কিছু খাবারের নাম বলেছি। গর্ভাবস্থায় সাত মাস পর্যন্ত খাবারগুলো নিয়মিত খেলে গর্ভের বাচ্চার চুল হবে সুন্দর এবং ঘন।
বাচ্চার চুল ঘন করার উপায়
বাচ্চাদের চুল ঘন করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলা আবশ্যক। নিচে আমরা বাচ্চাদের চুল ঘন করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব:
- ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান,
- বাচ্চার শরীরে রোদ লাগতে দিন,
- ক্রাডেল ক্যাপ ব্যবহার করুন,
- প্রতিদিন বাদাম খাওয়ান,
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান,
- নিয়মিত চুল আচড়ে দিন।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান
ভিটামিন ডি রয়েছে এমন খাবার শিশুর প্রতিদিন খাবার তালিকা রাখতে পারেন। ডিম স্যামন মাছ ইত্যাদি থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
শরীরে রোদ লাগতে দিন
সূর্যের আলো অথবা সকালে রোদ থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যা ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। বাচ্চাকে নিয়ম করে সকালে রোধ গায়ে লাগান।
ক্রাডেল ক্যাপ ব্যবহার করুন
ক্রাডেল ক্যাপ ব্যবহার করার ফলে শিশুর পেছনদিকের চুল পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে না। তাই শিশুকে শোয়ানোর আগে ক্রাডেল ক্যাপ ব্যবহার করে তারপর শুইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
বাদাম খাওয়ান
বিভিন্ন রকমের বাদাম থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায়। বাচ্চার চুল বৃদ্ধির প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা করে বাদাম খাওয়ানো উচিত।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান
সবুজ শাকসবজি, মটরশুটি এবং কুমড়ো থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এই খাবারগুলো শিশুর চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
নিয়মিত চুল আচড়ে দিন
শিশু চুল সুন্দর রাখার জন্য প্রতিদিন চুল আঁচড়ানো খুব জরুরী। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার শিশুর চুল আচড়ে দিন।
শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চার চুল ঘন হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা শিশুর চুল নিয়ে সমস্যায় আশা করি আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১) শিশুর চুল কত দ্রুত বাড়ে?
উত্তর: শিশুর চুল প্রতি মাসে 0.5 ইঞ্চি (1.3 সেমি) আকারে বৃদ্ধি পায়।
২)৪ বছরের বাচ্চার চুল ঘন করার উপায়?
উত্তর: চার বছরের শিশু চুল ঘন করার জন্য
মটর, অ্যাসপারাগাস খাবারগুলো খুব উপযোগী।
৩) চুল গজানোর তেলের নাম কি?
উত্তর: ভেজাল হীন খাঁটি নারিকেল তেল চুল গজানোর জন্য অত্যাধিক উপকারী।