ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা
১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রতিবছর 14 ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনের জন্য অনেকে অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকেন কখন দিবসটি আসবে এবং কিভাবে পালন করবে। অনেকে রয়েছেন যে তারা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করার জন্য মেসেজ, এসএমএস ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভালোবাসা দিবসকে স্বাগত জানান।
যারা ভালোবাসা দিবস পালনের জন্য মেসেজ, এসএমএস ও শুভেচ্ছা খোঁজেন তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি। আজ আমরা এই পোস্টটি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সুন্দর মেসেজ রোমান্টিক শুভেচ্ছা, বার্তা ও নতুন আপডেট এসএমএস কালেকশন করে আমাদের আর্টিকেলটিতে সংযুক্ত করেছি।
ভালোবাসা দিবসের রোমান্টিক এসএমএস
আপনি যদি ভালোবাসা দিবসকে পালন করার জন্য রোমান্টিক-মেসেজ বার্তা পাঠাতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের এই আর্টিকেল থেকে রোমান্টিক, নতুন ও আপডেট এসএমএস গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
- “ভালোবাসা” শব্দটা হয় না কখনো পুরানো, হয় না কখনো মলিন। ভালেবাসা হয় না ধূসর কিংবা বর্নহীণ। ভালোবাসা শুধু রংধনুর রঙে রঙিন, হোক না সেটা এপার কিংবা ওপারের। তারপরেও ভালোবাসা তো শুধুই “ভালোবাসা”!
- “ভাবি শুধু তোমাকে সবসময় আমার অনুভবে”।
- “স্বপ্নে দেখি তোমাকে চোখের প্রতিটি পলকে পলকে”
- “আপন ভাবি তোমাকে আমার প্রতিটি নিশ্বাসে-বিশ্বাসে।
- চোখে আছে কাজল কানে আছে দুল। তোমার ঠোট যেন রক্তে রাঙা ফুল, চোখ একটু ছোট মুখে মিষ্টি হাসি। তোমার মতো এমন একজন মেয়েকে সত্যি আমি অনেক ভালোবাসি।
- কেউ যদি অভিমানে তোমার সাথে কথা না বলে, বুঝে নিবে সে তোমায় আড়ালে মিস করে। আবার কেউ যদি না দেখে কাঁদে, বুঝে নিবে সে তোমায় ভীষণ ভালবাসে..!
- আমি তোমাকে চাই কল্পনাতে নয় বাস্তবে। আমি তোমাকে চাই ছলনাতে নয় ভালোবাসায়। আমি তোমাকে চাই তোমার মত করে নয়, আমার মত করে, আমি তোমাকে চাই চিরদিনের জন্য খনিকের জন্য নয়।
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস
একজন বিখ্যাত সেইন্ট বা ধর্ম যাজকের ভ্যালেন্টাইনের নাম থেকে দিনটি এমন নাম পেয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তবে তিনি কে ছিলেন – তা নিয়ে বিভিন্ন গল্প রয়েছে।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে জনপ্রিয় বিশ্বাস হলো ভ্যালেন্টাইন খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন। সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা খারাপ সৈন্য হয়ে থাকে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
যখন এই খবর ক্লডিয়াস জানতে পারেন, তখন তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি যখন তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভ্যালেন্টাইন ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান।
যেখানে লেখা ছিল, “তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে”।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে কীভাবে শুরু হয়েছিল?
প্রথম ভ্যালেন্টাইন’স ডে ছিল ৪৯৬ সালে।
একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালনের বিষয়টি বেশ প্রাচীনকালের ঐতিহ্য। এটি রোমান উৎসব থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয়। রোমানদের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে লুপারকালিয়া নামে একটি উৎসব ছিল – আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বসন্ত মৌসুম শুরু হওয়ার সময়।
উদযাপনের অংশ হিসাবে ছেলেরা মেয়েদের নাম লেখা চিরকুট তোলেন একটি বাক্স থেকে।
যে ছেলের হাতে যেই মেয়ের নাম উঠত, তারা দুজন ওই উৎসব চলাকালীন সময়ে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড থাকতেন বলে মনে করা হয়। অনেক সময় ওই জুটিই বিয়েও সেরে ফেলতেন।
পরবর্তী সময়ে, এই উৎসবটিকে গির্জা খ্রিস্টান উৎসবে রূপ দিতে চেয়েছিল। একইসাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের স্মরণে এই উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ধীরে ধীরে মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠতে শুরু করে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামটি। আর মানুষ তার ভালবাসার মানুষের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশের জন্য এই নামটি ব্যবহার করা শুরু করে।