কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস 2024
কন্যা সন্তান সব বাবা-মায়ের কাছে আদরের এবং ভালোবাসার হয়। এবং কন্যা সন্তান আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত একটি শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যারা কন্যা সন্তান পছন্দ করেন না তারা আসলে জানেন না কন্যা সন্তান আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত সব থেকে বড় নেয়ামত। তাই সবার উচিত পুত্র সন্তানের পাশাপাশি কন্যা সন্তানকে ভালোবাসা এবং আগলে রাখা। কন্যা সন্তান নিয়ে অনেকেই ইসলামিক স্ট্যাটাস খুঁজে থাকেন। চলুন দেখে নেই এমন কিছু কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস যা আপনারা ফেসবুকে আপলোড করতে পারেন।
১) কন্যা সন্তান আধার ঘরে আলোর স্বরূপ। কন্যা সন্তান পরিবার এবং বংশের ভালো।
২) কন্যা সন্তান ছাড়া পরিবার অসম্পন্ন। তাই কন্যা সন্তান কোন পরিবারের বোঝা নয়।
৩) কন্যা সন্তান দেখে আশাহত হবেন না। সে নিশ্চিত আল্লাহর কাছ থেকে তার বাবা-মায়ের জন্য সুসংবাদ নিয়ে এসেছে।
৪) কন্যা সন্তান প্রতিটি বাবার জন্য আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত সবথেকে বড় সম্পদ।
৫) কন্যা সন্তান যার হবে সে নিঃসন্দেহে জান্নাত পাবে।
৬) যে স্ত্রীর দেনমোহরের পরিমাণ কম যার গর্ভে প্রথম কন্যা সন্তান হয় সে তার স্বামীর জন্য বরকত বয়ে আনে।
- হজরত আয়শা (রা.)
৭) যে গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, এবং তার পিতা-মাতা তার উপর অসন্তুষ্ট হয় না এবং পুত্র সন্তানকে অধিক প্রাধান্য দেয় না সেই পিতা মাতার উপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
- মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩
৮) আল্লাহ যদি কারো ঘরে কন্যা সন্তান পাঠায় এবং সে যদি কন্যা সন্তানের সমস্ত দায়-দায়িত্ব সম্মানের সহিত পালন করে তাহলে তার জন্য জান্নাতের দরজা খোলা থাকবে।
- জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩।
৯) মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার কাছে কন্যা সন্তান পৃথিবীর সবথেকে বড় নেয়ামত। এবং প্রত্যেক কন্যা সন্তানের পিতা-মাতার এই নেয়ামতের উপর যত্নশীল হতে হবে।
১০) আল্লাহ যে বান্দার উপর সব থেকে বেশি খুশি থাকেন তার ঘরে কন্যা সন্তান উপহার হিসেবে দান করেন।
আল্লাহ পুত্র ও কন্যা সম্পর্কে কি বলেছেন
আল্লাহ পুত্র এবং কন্যা সন্তান সম্পর্কে বলেছেন “ ভাগ্যবানদের নেয়ামত হিসেবে কন্যা সন্তান প্রদান করা হয়”। তাই কন্যা সন্তানের প্রতি যত্নশীল হও। যারা কন্যা অপেক্ষা পুত্র সন্তানকে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং কন্যা সন্তানকে অবহেলা করে নিঃসন্দেহে তাদের জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করছে (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩)। আরো বলা হয়েছে “যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানকে সব ধরনের আদব-কায়দা এবং শিক্ষা দেবে এবং যত্নের সঙ্গে বড় করবে তার জন্য জান্নাতের দরজা খোলা রয়েছে” -রাসূলুল্লাহ (সা.)।
যে ব্যক্তির দুইজন অথবা তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে সে যদি কোন সন্তানদের আদরের সঙ্গে বড় করে তার জন্য জান্নাত অপেক্ষা করছে – (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ)। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬) এ পুত্র সন্তানের কথা বলা হয়নি। কিন্তু এখানে কন্যা সন্তানদের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।
কখন সহবাস করলে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়?
কখন সহবাস করলে ছেলে সন্তান জন্ম নেবে এর কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণ নেই। তবে সহবাসের সময় মন এবং শরীর স্থির থাকলে একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব। তবে সহবাসের সময় নিশ্চিত করুন যতটা সম্ভব লিঙ্গ জরায়ুর কাছাকাছি নেওয়ার জন্য। এতে করে x ক্রোমোজোম এবং y ক্রোমোজোম এর অবস্থান খুব কাছাকাছি হয়। অনেক সময় এভাবে সহবাস করলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শেষ কথা
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস অনেকেই সার্চ করে থাকেন তাদের ফেসবুকে ক্যাপশন হিসেবে দেওয়ার জন্য। আবার অনেকে তাদের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের আর্টিকেলে কন্যা সন্তান নিয়ে বিভিন্ন ইসলামিক স্ট্যাটাস প্রকাশ করেছি। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।